আয়াতুল কুরসীর ফজিলত - Ayatul Kursi
১. প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার মৃত্যুর সময় সহজভাবে জান কবজ করা হবে।
২. অন্য হাদিসে আছে, যারা পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তাদের জন্যে জান্নাতে যেতে মৃত্যু ব্যতীত আর কোনো বাধা থাকবে না। অর্থাৎ মৃত্যুর সাথে সাথেই সেই ব্যক্তি আল্লাহর জান্নাতের শান্তি উপভোগ করতে থাকবে।
৩. হাদিসে বলা আছে, যে ব্যক্তি ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, আল্লাহ তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে দিবেন এবং সে ফেরেশতা সারা রাত তাকে পাহারা দিবে এবং দুষ্ট জীন ও শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবে।
৪. রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসি পাঠ করে তার ধন-সম্পতি ফুঁকে দেয় তাহলে তার ওই সম্পদ কোনো চোরে নিতে পারবে না।
এ বিষয় একটি ঘটনা হযরত আবু হুরায়রা (র) থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেনঃ একবার রসূলুল্লাহ (সঃ) আমাকে কিছু সম্পদ পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব দিলেন। আমি পাহারা দিচ্ছিলাম এমন সময় ঘুম আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। আমি তখন আয়াতুল কুরসি পড়ে ওই সম্পদে ফুঁক দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। তখন চোর এলো সম্পদগুলো চুরি করার জন্যে। কিন্তু চোর ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেলো।
৫. যারা আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে আল্লাহ তাদের জান্নাতের আটটি দরজার সবগুলো দিয়ে প্রবেশ করার সুযোগ দিবেন।
আয়াতুল কুরসীর ফজিলত - Ayatul Kursi
اللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْحَـىُّ الْقَيُّوْمُ لَا تَاْخُذُهٗ سِنَةٌ وَّلَا نَوْمٌؕ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الْاَرْضِؕ مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَهٗۤ اِلَّا بِاِذْنِهٖؕ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْۚ وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَىْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَۚ وَلَا يَـــُٔوْدُهٗ حِفْظُهُمَا ۚ وَ هُوَ الْعَلِىُّ الْعَظِيْمُ
আল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আল হাইয়ুল কাইয়ূমু লা-তা’খুযুহূ ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাঊম লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূইল্লা-বিইযনিহী ইয়া‘লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়ালা-ইউহীতূনা বিশাইইম মিন ‘ইলমিহীইল্লা-বিমা-শাআ ওয়াছি‘আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ালা-ইয়াঊদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ূল ‘আজীম।
إرسال تعليق