দরুদে তাজ শরীফের ফযীলত

 

দরুদে তাজ শরীফের ফযীলত

দরুদে তাজ শরীফের ফযীলত


রাসুল (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ অনেক বেশি ফজিলতের। দরুদ পাঠ রহমত ও বরকত লাভের অন্যতম উপায়। স্বয়ং আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে মহানবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

‘নিশ্চয় আল্লাহ নবীর উপর রহমত অবতীর্ণ করেন এবং ফেরেশতারা তার জন্য রহমতের দোয়া করেন। সুতরাং হে মুমিনগণ! তোমরাও তার প্রতি দরুদ পড়ো এবং অধিক পরিমাণে সালাম পাঠাও।

(সুরা আহজাব, আয়াত : ৫৬)

মহানবী (সা.)-এর প্রতি হৃদয়ের গভীরে মহব্বত ও ভালোবাসা পোষণ করা এবং তার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে দোয়া করা— প্রত্যেক উম্মতের ঈমানি কর্তব্য।

দুরুদে তাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল । আমরা প্রত্যেক এর আমল করা অনেক জরুরি । আপনারা যারা আমাদেরকে দুরুদে তাজের ফজায়েল সম্পর্কে লেখার জন্য বলেছেন তাদের জন্য ধন্যবাদ । আজকে আপনাদের জন্য দুরুদে তাজের ফজায়েল এবং আমল সম্পর্কে খুবই বিস্তারিত আলোচনা করছি । তো আশা করব আপনারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন ।

দরুদে তাজ শরীফের ফযীলত বাংলা উচ্চারণ ও বাংলা অর্থ সহ পড়ুন (ক্লিক করুন) 

দরুদে তাজের আরবী Pdf Download করতে ক্লিক করুন 


 পবিত্রতা লাভের জন্য ফজরের নামাযের পর ৭বার, আছরের নামাযের পর ৩বার, ইশার নামাযের পর ৩ বার পড়তে হয়। এই দুরূদ শরীফ সর্বদা পড়লে মনের বাসনা পূর্ণ হয়। জুমআর রাতে এ’শার নামায শেষে এই দুরূদ শরীফ ১৮০ বার পাঠ করে শুয়ে থাকলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর জিয়ারত নসীব হবে ইন্শাআল্লাহ।

  • পাক পবিত্রতার সাথে এ দরূদে তাজ শরীফ প্রত্যেহ ১১ বার পাঠ করলে জ্বীন প্রেতের আক্রমন হতে নিরাপদ থাকা যাবে। (পরীক্ষিত)
  • প্রত্যেক প্রত্যুষে সুর্য্য উঠার আগে এ দরূদ শরীফ ৭ বার করে পাঠ করলে রুজি রোজগার বৃদ্ধি পাবে।
  • প্রত্যেক ফজরের নামাজের পর ৭ বার পাঠ করলে নেক কাজের প্রতি হৃদয়ের আকর্ষণ বৃদ্ধি পাবে।
  • চিরবন্ধা নারী যদি সন্তান পেতে চায় তাহলে এ দরূদ শরীফ ৭ বার পাঠ করে একটা শুকানো খুরমার উপর ফুঁক দিয়ে খাওয়ায়ে দিলে ইনশাআল্লাহ সন্তান লাভ করবে।
  • যদি কেউ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নে দেখার ইচ্ছা রাখেন। তারা প্রতি শুক্রবার রাতে এশার নামাজের পর পবিত্রতার সাথে আতর গোলাপ মেখে দরূদে তাজ শরীফ পাঠ করে এবং সেখানেই নিদ্রা যাবেন। এ নিয়তে আমল করলে ইনশাআল্লাহ ১১ রাত্রি উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের (স্বপ্নযোগে) সাক্ষাত মিলবে।
  • যে ব্যক্তি মধ্যরাতের পর অযু সহকারে দরূদেতাজ ৪০  বার   পাঠ  করবে   খোদার    মর্জিতে  তার    যেকোন নেক মকসুদ পূর্ণ হবে।
  • যাদু,     জ্বিনের      আছর,     শয়তানের     কুমন্ত্রণা     ও বসন্তরোগ   থেকে  রা  পাওয়ার   জন্য  উক্ত  দরূদশরীফ ১১বার   পাঠ   করে   পানিতে     ফুঁক   দিলে    ইনশায়াল্লাহ উপকার হবে। (আল অজিফাতুল কারীমা)।
  • যে   ব্যক্তি  প্রতিদিন  ফজরের নামাযের পর  ৭  বার  আসর  ও   এশার  নামাযের   পর   ৩  বার  নিয়মিত  পাঠ  করবে, তার অন্তর নূরে উদ্ভাসিত হবে।
  • অভাবের কারণে ইজ্জত হুরমত নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিলে  উক্ত  দরূদশরীফ প্রত্যেক নামাযের পর  ৭ বার এবং এশার নামাযের পর ১০০ বার নিয়মিত পাঠ করতে          হবে।  আল্লাহর ফজল ও করমে  রুজি-রোজগারে খয়র ও বরকত হবে এবং অভাব মুক্ত হবে।
  • যে  ব্যক্তি এ দরূদশরীফ নিয়মিত  পাঠ করবে, তার কবর    নূরে  আলোকিত   হবে    এবং  পুলসিরাত  পলকে পার হবে। (মজমুয়ায়ে অজায়েফ)

আরও পড়ুন……

Post a Comment

أحدث أقدم